হাওজা নিউজ এজেন্সি: নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন,
ثلاثةٌ یَشْفَعُونَ الی اللهِ یوم القیامَةِ فَیُشَفِّعُهُم: الانبیاء ثُمَّ العُلماء ثُمَّ الشُّهداء
তিন শ্রেণির লোক কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবেন এবং আল্লাহ তাদের সুপারিশ কবুল করবেন:
১. নবীরা,
২. তারপর আলেমরা,
৩. অতঃপর শাহিদরা (শহীদগণ)।
[বিহারুল আনোয়ার, খণ্ড- ২, পৃষ্ঠা- ১৫]
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
শিয়া ইসলামে আলেমদের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে, কারণ তারা নবী (সা.) ও আহলে বাইত (আ.)-এর জ্ঞান ও আদর্শের ধারক-বাহক। এই হাদিস অনুযায়ী, আলেমগণ নবীদের পরেই সর্বোচ্চ সুপারিশের অধিকারী, যা তাদের সমাজে জ্ঞান ও ধর্মীয় নেতৃত্বের গুরুত্বকে তুলে ধরে।
শিক্ষা:
১. জ্ঞানার্জনের মর্যাদা: আলেমরা শুধু ধর্মীয় শিক্ষাই দেন না, বরং তারা সমাজের নৈতিক পথপ্রদর্শক এবং আধ্যাত্মিক সুপারিশকারী।
২. পয়গম্বর (সা.) ও আহলে বাইতের জ্ঞানের ধারক: শিয়া মতবাদে সত্যিকার আলেমরা পয়গম্বর (সা.) ও ইমামগণের (আ.) শিক্ষার ভিত্তিতে সমাজকে পরিচালনা করেন।
৩. সুপারিশের অধিকার: নবী ও ইমামদের পর আলেমরাই কিয়ামতের দিন উম্মতের জন্য আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করবেন।
“আলেমের (দোয়াত/কলমের) কালি শহিদদের রক্তের চেয়েও মূল্যবান”
- ইমাম আলী (আ.)
আপনার কমেন্ট